টি. এস. এলিয়ট-এর জীবনী
টি. এস. এলিয়ট, জীবনী

বিষয় | বিবরণ |
---|---|
পূর্ণ নাম | থমাস স্টের্নস এলিয়ট (Thomas Stearns Eliot) |
জন্ম | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮ |
জন্মস্থান | সেন্ট লুইস, মিসৌরি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
মৃত্যু | ৪ জানুয়ারি ১৯৬৫ |
মৃত্যুর স্থান | লন্ডন, ইংল্যান্ড |
পেশা | কবি, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক |
সাহিত্য ধারা | আধুনিকতাবাদী কবিতা (Modernist Poetry) |
প্রধান রচনা | The Waste Land, The Love Song of J. Alfred Prufrock, Four Quartets, Ash Wednesday |
বিশেষ বৈশিষ্ট্য | জটিল প্রতীকবাদের ব্যবহার, পাশ্চাত্য ও প্রাচ্য দর্শনের মিশ্রণ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংকট চিত্রায়ণ |
পুরস্কার | নোবেল পুরস্কার (১৯৪৮) |
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
টি. এস. এলিয়ট ১৮৮৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরির সেন্ট লুইসে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তীতে অক্সফোর্ড ও সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন।
সাহিত্যিক ক্যারিয়ার ও আধুনিক কবিতায় অবদান
এলিয়ট আধুনিক কবিতার অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব। তার কবিতায় সমাজের ক্ষয়, একাকীত্ব, অস্তিত্বের সংকট ও ধর্মীয় অনুসন্ধান প্রকাশ পেয়েছে।
তার বিখ্যাত কবিতাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- The Love Song of J. Alfred Prufrock (১৯১৫) – আধুনিক মানুষের দ্বিধা ও একাকীত্বের ছবি তুলে ধরে।
- The Waste Land (১৯২২) – প্রথম বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইউরোপের ভগ্ন সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের অবক্ষয়ের প্রতিচিত্র।
- Ash Wednesday (১৯৩০) – এলিয়টের ধর্মীয় বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিক অন্বেষণের প্রতিফলন।
- Four Quartets (১৯৪৩) – সময়, স্মৃতি ও আধ্যাত্মিকতার ওপর দার্শনিক বিশ্লেষণ।
ব্যক্তিগত জীবন ও ধর্মীয় বিশ্বাস
এলিয়ট ১৯২৭ সালে ব্রিটিশ নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন এবং অ্যাংলিকান খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হন। তার পরবর্তী রচনাগুলোতে আধ্যাত্মিকতা ও নৈতিকতার প্রভাব আরও বেশি প্রকাশ পায়।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
টি. এস. এলিয়ট ১৯৪৮ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তার সাহিত্যচিন্তা ও কবিতার ধারা আধুনিক কবিতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
১৯৬৫ সালে লন্ডনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এলিয়টের সাহিত্য আজও আধুনিক কবিতার অনুপ্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং তার রচনা বিশ্লেষণ আধুনিক সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে স্বীকৃত।
What's Your Reaction?






