সুকান্ত ভট্টাচার্যের জীবনী
সুকান্ত ভট্টাচার্য, জীবনী

বিষয় | বিবরণ |
---|---|
পূর্ণ নাম | সুকান্ত ভট্টাচার্য |
জন্ম | ১৫ আগস্ট ১৯২৬ |
জন্মস্থান | কালীঘাট, কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত |
পিতার নাম | নিবারণ ভট্টাচার্য |
মাতার নাম | সুনীতি দেবী |
রাজনৈতিক আদর্শ | কমিউনিস্ট মতাদর্শ |
প্রধান সাহিত্যকর্ম | ছাড়পত্র, পূর্বাভাস, অভিযান, ঘুম নেই, হে মহাজীবন |
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য | সমাজতান্ত্রিক চেতনা, শ্রেণিসংগ্রাম, সংগ্রামী ভাষা |
মৃত্যু | ১৩ মে ১৯৪৭ |
মৃত্যুর কারণ | যক্ষ্মা রোগ |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
সুকান্ত ভট্টাচার্য ১৯২৬ সালের ১৫ আগস্ট কলকাতার কালীঘাটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই সাহিত্যচর্চা শুরু করেন এবং কমিউনিস্ট মতাদর্শে দীক্ষিত হন। ছাত্রজীবনে তিনি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক সংগঠন প্রগতি লেখক সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
সাহিত্য ও আদর্শ
সুকান্তের কবিতায় শ্রেণিসংগ্রাম, দারিদ্র্য, শোষণ এবং সমাজতান্ত্রিক ভাবধারার স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যায়। তিনি সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট, শোষিত শ্রেণির সংগ্রাম এবং বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন তার কবিতায়।
প্রধান সাহিত্যকর্ম
- ছাড়পত্র – তার সবচেয়ে বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ, যেখানে সংগ্রামী ও বিপ্লবী চেতনার প্রকাশ ঘটে।
- পূর্বাভাস – ভবিষ্যৎ বিপ্লব ও সমাজ পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী কবিতা রয়েছে।
- অভিযান – সংগ্রামী মানুষের জীবনের গল্প বলে।
- ঘুম নেই – সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে লেখা।
- হে মহাজীবন – বিপ্লবী চেতনায় সমৃদ্ধ কবিতা।
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য
- গণমানুষের সংগ্রাম ও বিপ্লবের প্রতি দায়বদ্ধতা।
- সহজ, সরল অথচ তীব্র ও সাহসী ভাষা।
- শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর।
- জীবনমুখী ও বাস্তববাদী চিন্তাধারা।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
মাত্র ২১ বছর বয়সে, ১৯৪৭ সালের ১৩ মে, যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। অল্প বয়সে মারা গেলেও তার কবিতা আজও সংগ্রামী চেতনার প্রতীক হিসেবে গণ্য হয়।
উপসংহার
সুকান্ত ভট্টাচার্য ছিলেন বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার কবিতা আজও সাধারণ মানুষের লড়াই ও বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায়। তিনি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলা সাহিত্যে যে বিপ্লবী চেতনার ছাপ রেখে গেছেন, তা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
What's Your Reaction?






