রবিচন্দ্র সিং মইরাংথে এর জীবনী || Biography of Ravichandran Singh Moirangthe
রবিচন্দ্র সিং মইরাংথেম একজন প্রতিভাবান ভারতীয় ফিল্ড হকি খেলোয়াড়, যিনি মিডফিল্ডার হিসেবে খেলে থাকেন। তিনি মণিপুরের মইরাং শহরের বাসিন্দা এবং ভারতের জাতীয় দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।

তথ্য | বিবরণ |
---|---|
পুরো নাম | রবিচন্দ্র সিং মইরাংথেম |
জন্ম তারিখ | ৩ আগস্ট ২০০১ |
জন্মস্থান | মইরাং, মণিপুর, ভারত |
পজিশন | মিডফিল্ডার |
বর্তমান ক্লাব | কালিঙ্গা ল্যান্সার্স (হকি ইন্ডিয়া লিগ), পেট্রোলিয়াম স্পোর্টস প্রোমোশন বোর্ড |
জাতীয় দলের অভিষেক | ২০২২ সালে সিনিয়র দলের হয়ে |
জাতীয় ম্যাচ সংখ্যা | ১৪+ ম্যাচ (২০২৫ সালের মে পর্যন্ত) |
জাতীয় গোল সংখ্যা | ০ (২০২৫ সালের মে পর্যন্ত) |
উল্লেখযোগ্য অর্জন | ২০১৮ যুব অলিম্পিকে রৌপ্য, ২০২২ হকি ৫সে স্বর্ণ, ২০১৬ U-18 এশিয়া কাপে স্বর্ণ |
বিস্তারিত জীবনী
শৈশব ও পরিবার
রবিচন্দ্র সিং মইরাংথেম ২০০১ সালের ৩ আগস্ট মণিপুরের মইরাং শহরের থোয়া লেইকাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নিমাই সিং ২০১৬ সালে মারা যান, এবং তার মা ভেইগ্যাবতী দেবী। তিনি চার ভাইবোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তার বড় ভাই দেবিদ সিং একজন রাজ্য হকি খেলোয়াড় ছিলেন এবং পরিবারের আর্থিক সহায়তার জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
হকি ক্যারিয়ার
রবিচন্দ্র ১০ বছর বয়সে অল মইরাং হকি অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে হকি খেলা শুরু করেন। তার প্রতিভা দেখে কোচরা তাকে ইম্ফলের স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (SAI) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিয়ে যান, যেখানে তিনি ২০১২ সালে ভর্তি হন। ২০১৬ সালে সাব-জুনিয়র ন্যাশনালসে তার পারফরম্যান্সের পর, তিনি দিল্লির ন্যাশনাল হকি একাডেমিতে নির্বাচিত হন।
তিনি ২০১৭ সালে সুলতান অফ জোহর কাপে জুনিয়র দলের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক করেন এবং ২০১৮ যুব অলিম্পিকে ভারতের হয়ে রৌপ্য পদক জয় করেন। ২০২১ সালে তিনি FIH ওড়িশা হকি মেনস জুনিয়র বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন, যেখানে ভারত চতুর্থ স্থান অর্জন করে।
২০২২ সালের মার্চে তিনি সিনিয়র দলের হয়ে FIH প্রো লিগে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে অভিষেক করেন। তিনি ২০২২ সালে লসানে অনুষ্ঠিত হকি ৫সে ভারতের হয়ে স্বর্ণ পদক জয় করেন।
উল্লেখযোগ্য অর্জন
-
২০১৬: ঢাকায় অনুষ্ঠিত U-18 এশিয়া কাপে স্বর্ণ পদক।
-
২০১৮: যুব অলিম্পিকে রৌপ্য পদক।
-
২০২২: হকি ৫সে স্বর্ণ পদক।
ব্যক্তিগত জীবন ও অনুপ্রেরণা
রবিচন্দ্রের হকি ক্যারিয়ার তার পরিবারের জন্য গর্বের বিষয়। তার মা প্রথমে হকিতে তার আগ্রহকে সমর্থন না করলেও, পরবর্তীতে তার সাফল্যে গর্বিত হন। তিনি মণিপুরের তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য একটি অনুপ্রেরণা এবং তার সাফল্য রাজ্যের ক্রীড়া উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
What's Your Reaction?






