এডিনসন কাভানি (উরুগুয়ে) এর জীবনী | Biography of Edinson Cavani (Uruguay) in Bangla
এডিনসন কাভানি, যাকে “এল মাতাদোর” নামে ডাকা হয়, একজন পরিশ্রমী, নিখুঁত ফিনিশার এবং আধুনিক যুগের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। তিনি শুধু ক্লাব ফুটবলে নয়, উরুগুয়ে জাতীয় দলের ইতিহাসেও অন্যতম সেরা গোলদাতা।

বিষয় | তথ্য |
---|---|
পুরো নাম | এডিনসন রবার্তো কাভানি গোমেস |
জন্ম তারিখ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৭ |
জন্মস্থান | সালতো, উরুগুয়ে |
উচ্চতা | ৬ ফুট (১.৮৪ মিটার) |
পজিশন | স্ট্রাইকার |
জাতীয় দলে খেলা | উরুগুয়ে (২০০৮–বর্তমান) |
আন্তর্জাতিক ম্যাচ | ১৩৬+ ম্যাচ |
আন্তর্জাতিক গোল | ৫৮+ গোল (উরুগুয়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা) |
প্রধান ক্লাবসমূহ | পালারমো, নাপোলি, পিএসজি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ভ্যালেন্সিয়া, বোকা জুনিয়র্স |
প্রধান অর্জন | কোপা আমেরিকা (২০১১), লিগ ১ (ফ্রান্সে একাধিকবার), পিএসজির সর্বোচ্চ গোলদাতা (এক সময়) |
ক্লাব ক্যারিয়ার সংক্ষেপ
-
পালারমো (২০০৭–২০১০):
-
ইতালিতে যাত্রা শুরু, টেকনিক ও গোলস্কোরিং ট্যালেন্টে নজর কাড়েন
-
-
নাপোলি (২০১০–২০১৩):
-
সিরি আ-তে নিজেকে একজন এলিট স্ট্রাইকার হিসেবে প্রমাণ করেন
-
৩টি মৌসুমে ১০০+ গোল
-
-
প্যারিস সেন্ট-জার্মেইন (২০১৩–২০২০):
-
ক্লাব ইতিহাসের এক সময়ের সর্বোচ্চ গোলদাতা
-
লিগ ১ জয়, ঘরোয়া ট্রফির ছড়াছড়ি
-
নেইমার ও এমবাপের সাথেও খেলেছেন
-
-
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও ভ্যালেন্সিয়া:
-
অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ গোল
-
-
বোকা জুনিয়র্স:
-
লাতিন আমেরিকায় ফিরে গিয়ে এখনও অবদান রেখে চলেছেন
-
উরুগুয়ে জাতীয় দলে অবদান
-
আন্তর্জাতিক অভিষেক: ২০০৮
-
বিশ্বকাপ ২০১০:
-
সেমিফাইনালে ওঠা দলের অন্যতম ফরোয়ার্ড
-
-
কোপা আমেরিকা ২০১১:
-
শিরোপাজয়ী দলের অংশ
-
-
বিশ্বকাপ ২০১৮:
-
পর্তুগালের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি গোল করে দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেছিলেন
-
-
লুইস সুয়ারেজের সাথে গড়েছেন ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকর ফরোয়ার্ড জুটি
খেলার ধরন ও বৈশিষ্ট্য
-
দুর্দান্ত অফ দ্য বল মুভমেন্ট
-
ক্লিনিক্যাল ফিনিশিং (হেড, ডান পা, বাম পা)
-
পরিশ্রমী, ট্যাকলিং ও ডিফেন্সে সাহায্য করতেও পিছপা নন
-
লিডারশিপ ও দলগত মানসিকতার প্রতীক
উপসংহার
এডিনসন কাভানি একজন নিঃশব্দ কিংবদন্তি—গোল করে যান, কিন্তু আলোচনায় থাকেন না। তার খেলা এবং আচরণ প্রমাণ করে, কীর্তি গড়া যায় বিনয়, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের মাধ্যমে। উরুগুয়ের ফুটবল ইতিহাসে তাঁর নাম চিরকাল অম্লান থাকবে।
What's Your Reaction?






