শামসুর রাহমানের জীবনী
শামসুর রাহমান, জীবনী

বিষয় | তথ্য |
---|---|
পুরো নাম | শামসুর রাহমান |
জন্ম | ২৩ অক্টোবর ১৯২৯ |
জন্মস্থান | মাহুতটুলি, ঢাকা, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ১৭ আগস্ট ২০০৬ |
মৃত্যুস্থান | বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা |
পেশা | কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক |
প্রথম কাব্যগ্রন্থ | "প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে" (১৯৬০) |
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ | "রৌদ্র করোটিতে", "বন্দী শিবির থেকে", "নিজ বাসভূমে", "দুঃসময়", "গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ" |
সাহিত্য আন্দোলন | আধুনিক বাংলা কবিতা, নাগরিকতা, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা |
পুরস্কার ও সম্মাননা | একুশে পদক (১৯৭৭), বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯), স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯১) |
জন্ম ও শৈশব
শামসুর রাহমান ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার মাহুতটুলি এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মুন্সী মুহাম্মদ আবদুল করিম এবং মাতা আমিনা খাতুন। তিনি ছিলেন ১৩ ভাই-বোনের মধ্যে ৪র্থ।
শিক্ষাজীবন
- আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন।
- ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন।
- পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে ভর্তি হন, তবে পড়াশোনা শেষ না করেই তা ছেড়ে দেন।
সাহিত্যজীবন
প্রথম কাব্যগ্রন্থ
১৯৬০ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ "প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে" প্রকাশিত হয়। এতে নাগরিকতা ও ব্যক্তিস্বাধীনতার বিষয়বস্তু উঠে আসে।
উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ
- "রৌদ্র করোটিতে" (১৯৭৪)
- "বন্দী শিবির থেকে" (১৯৭২) → মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা।
- "নিজ বাসভূমে" (১৯৭৮)
- "দুঃসময়" (১৯৮০)
- "গান্ধর্ব কবিতাগুচ্ছ" (১৯৯৫)
রাজনৈতিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কবিতা
শামসুর রাহমানের কবিতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার গুরুত্ব পায়।
- "বন্দী শিবির থেকে" কাব্যগ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধের চিত্র উঠে এসেছে।
- তার বিখ্যাত কবিতা "তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা" ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।
সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চা
শামসুর রাহমান দৈনিক পাকিস্তান (বর্তমান দৈনিক বাংলা) পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। তিনি আজীবন সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
পুরস্কার ও সম্মাননা
- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৯)
- একুশে পদক (১৯৭৭)
- স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৯১)
- আনন্দ পুরস্কার (১৯৮২)
মৃত্যু
২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট তিনি ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
উপসংহার
শামসুর রাহমান বাংলা কবিতার অন্যতম পথিকৃৎ। তার কবিতায় নাগরিক জীবন, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ ও মানবতাবাদ ফুটে উঠেছে। তার লেখা "তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা" কবিতাটি আজও মানুষের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে। তিনি আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
What's Your Reaction?






