গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল-এর জীবনী
গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল, জীবনী

বিষয় | বিবরণ |
---|---|
পূর্ণ নাম | লুসিলা গদোয় আলকায়াগা (Lucila Godoy Alcayaga) |
ছদ্মনাম | গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল (Gabriela Mistral) |
জন্ম | ৭ এপ্রিল ১৮৮৯ |
জন্মস্থান | বিকুনিয়া, চিলি |
মৃত্যু | ১০ জানুয়ারি ১৯৫৭ |
মৃত্যুর স্থান | নিউ ইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র |
পেশা | কবি, শিক্ষাবিদ, কূটনীতিক, নারীবাদী লেখক |
সাহিত্য ধারা | প্রেম, প্রকৃতি, মাতৃত্ব, সামাজিক ন্যায়বিচার |
প্রধান রচনা | Desolación (১৯২২), Ternura (১৯২৪), Lagar (১৯৫৪) |
বিশেষ বৈশিষ্ট্য | গভীর আবেগময়তা, মাতৃত্বের অনুভূতি, দার্শনিকতা, সমাজ ও শিক্ষা নিয়ে ভাবনা |
পুরস্কার | নোবেল পুরস্কার (১৯৪৫) – প্রথম লাতিন আমেরিকান নোবেলজয়ী নারী |
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল ১৮৮৯ সালে চিলির বিকুনিয়া শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি কবিতা ও শিক্ষার প্রতি গভীর অনুরাগী ছিলেন। দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হলেও তার শিক্ষা ও লেখালেখির প্রতি অদম্য ইচ্ছা ছিল। তিনি একজন শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন এবং শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিতি পান।
সাহিত্যিক অবদান ও কাব্যশৈলী
গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রালের কবিতায় মাতৃত্ব, প্রেম, প্রকৃতি, ধর্ম ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিফলন দেখা যায়। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ:
- Desolación (১৯২২) – বিষাদ, ভালোবাসা ও আত্মিক যন্ত্রণা নিয়ে লেখা কবিতার সংকলন।
- Ternura (১৯২৪) – যেখানে শিশুদের প্রতি ভালোবাসা ও মাতৃত্বের আবেগ প্রকাশ পেয়েছে।
- Lagar (১৯৫৪) – যেখানে জীবন ও প্রকৃতির গভীরতাকে তুলে ধরা হয়েছে।
কূটনৈতিক জীবন ও সামাজিক কাজ
শুধু কবিতা নয়, তিনি কূটনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি চিলির কনসাল হিসেবে বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন এবং শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করেন।
নোবেল পুরস্কার ও স্বীকৃতি
১৯৪৫ সালে গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তাকে প্রথম লাতিন আমেরিকান নারী নোবেলজয়ী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
১৯৫৭ সালে নিউ ইয়র্কে তিনি মারা যান। তার লেখা আজও বিশ্বজুড়ে নারীর শক্তি, মাতৃত্ব ও সামাজিক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে সমাদৃত হয়।
গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল শুধু একজন কবি নন, তিনি একাধারে নারীশিক্ষা ও মানবাধিকারের দূত, যার সাহিত্য আজও পাঠকদের অনুপ্রাণিত করে।
What's Your Reaction?






