বিষ্ণু দে-এর জীবনী
বিষ্ণু দে, জীবনী

বিষয় | তথ্য |
---|---|
পূর্ণ নাম | বিষ্ণু দে |
জন্ম | ১৮ জুলাই ১৯০৯ |
জন্মস্থান | কলকাতা, ব্রিটিশ ভারত (অধুনা ভারত) |
পিতা | সত্যানন্দ দে |
মাতা | নীরদা দে |
শিক্ষা | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (ইংরেজি সাহিত্য) |
পেশা | কবি, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, অধ্যাপক |
সাহিত্যধারা | আধুনিকতা, মার্ক্সবাদী ভাবধারা, বিমূর্ত ভাবনা |
প্রধান কাব্যগ্রন্থ | উর্বশী ও আর্টেমিস, চোরাবালি, সাঁঝবাতির রঙ, নাম রেখেছি কমলগন্ধা |
প্রধান প্রবন্ধগ্রন্থ | কবিতার কথা, শিল্প ও কবিতা, কাব্য ও চিত্রকলার সম্পর্ক |
প্রাপ্ত পুরস্কার | সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৫), জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (১৯৭১) |
মৃত্যু | ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ |
মৃত্যুস্থান | কলকাতা, ভারত |
জন্ম ও শিক্ষা
বিষ্ণু দে ১৯০৯ সালের ১৮ জুলাই কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা সত্যানন্দ দে ছিলেন একজন শিক্ষিত ব্যক্তি এবং মা নীরদা দে একজন সাংস্কৃতিক মনস্ক নারী ছিলেন। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং পরবর্তী সময়ে অধ্যাপনা পেশায় যুক্ত হন।
সাহিত্যকর্ম ও অবদান
বিষ্ণু দে বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান আধুনিক কবি। তিনি রবীন্দ্রোত্তর বাংলা কবিতায় আধুনিকতার পথিকৃৎ ছিলেন। তাঁর কবিতায় ইউরোপীয় শিল্প-সাহিত্যের প্রভাব, বিমূর্ততা, বুদ্ধিবৃত্তিক গভীরতা এবং মার্ক্সবাদী চিন্তার প্রতিফলন দেখা যায়।
তাঁর প্রধান সাহিত্যকর্ম:
কবিতা:
- উর্বশী ও আর্টেমিস (১৯৩২)
- চোরাবালি (১৯৪০)
- সাঁঝবাতির রঙ (১৯৪৯)
- নাম রেখেছি কমলগন্ধা (১৯৫০)
প্রবন্ধ:
- কবিতার কথা
- শিল্প ও কবিতা
- কাব্য ও চিত্রকলার সম্পর্ক
তিনি ইউরোপীয় কবিতা ও শিল্পের সঙ্গে বাংলা সাহিত্যের সংযোগ ঘটানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য
- বিমূর্ত চিত্রকল্প ও গভীর প্রতীকবাদ
- মার্ক্সবাদী দৃষ্টিভঙ্গি
- ইউরোপীয় শিল্প ও সাহিত্য প্রভাবিত কবিতার রূপ
- কবিতায় চিত্রকলার প্রভাব
পুরস্কার ও সম্মাননা
- সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৫)
- জ্ঞানপীঠ পুরস্কার (১৯৭১)
মৃত্যু
১৯৮২ সালের ৩ ডিসেম্বর কলকাতায় তাঁর মৃত্যু হয়।
উপসংহার
বিষ্ণু দে বাংলা কবিতায় আধুনিকতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধ বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে এবং নতুন চিন্তার ধারাকে উন্মোচন করেছে।
What's Your Reaction?






