এমিলি ডিকিনসন-এর জীবনী
এমিলি ডিকিনসন,জীবনী

বিষয় | তথ্য |
---|---|
পূর্ণ নাম | এমিলি এলিজাবেথ ডিকিনসন (Emily Elizabeth Dickinson) |
জন্ম | ১০ ডিসেম্বর ১৮৩০, অ্যামহার্স্ট, ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র |
পিতা | এডওয়ার্ড ডিকিনসন (Edward Dickinson) |
মাতা | এমিলি নরক্রস ডিকিনসন (Emily Norcross Dickinson) |
শিক্ষা | অ্যামহার্স্ট একাডেমি, মাউন্ট হলিয়োক মহিলা সেমিনারি |
পেশা | কবি |
সাহিত্যধারা | রহস্যময়তা, প্রকৃতি, প্রেম, মৃত্যু ও আধ্যাত্মিকতা |
প্রধান সাহিত্যকর্ম | "Because I could not stop for Death", "I'm Nobody! Who are you?", "Hope is the thing with feathers", "Success is counted sweetest" |
জীবদ্দশায় প্রকাশিত কবিতা | মাত্র ১০টি (তার অনুমতি ছাড়া প্রকাশিত) |
মৃত্যু | ১৫ মে ১৮৮৬, অ্যামহার্স্ট, ম্যাসাচুসেটস, যুক্তরাষ্ট্র |
শৈশব ও শিক্ষা:
এমিলি ডিকিনসন ১৮৩০ সালের ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের অ্যামহার্স্টে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা এডওয়ার্ড ডিকিনসন ছিলেন একজন প্রভাবশালী আইনজীবী এবং রাজনীতিবিদ। তিনি অ্যামহার্স্ট একাডেমিতে পড়াশোনা করেন এবং পরে মাউন্ট হলিয়োক মহিলা সেমিনারিতে ভর্তি হন, তবে কিছুদিন পরই তা ছেড়ে দেন।
একান্ত নিভৃত জীবন:
এমিলি ডিকিনসন ছিলেন অত্যন্ত অন্তর্মুখী ও নিভৃতচারী ব্যক্তি। তিনি বেশিরভাগ সময় নিজের বাড়িতেই কাটাতেন এবং সমাজজীবন এড়িয়ে চলতেন। তিনি কেবলমাত্র তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। তার জীবনযাত্রার এই নিঃসঙ্গতা তার কবিতায় গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
সাহিত্যিক অবদান ও কবিতা:
এমিলি ডিকিনসন মূলত প্রকৃতি, প্রেম, মৃত্যু, অনন্ত জীবন, আধ্যাত্মিকতা ও মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে কবিতা লিখেছেন। তার কবিতার ভাষা সরল হলেও গভীর দর্শন ও রহস্যময়তা বহন করে। তার কিছু বিখ্যাত কবিতা হলো—
- "Because I could not stop for Death" – মৃত্যু সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গির প্রকাশ।
- "I'm Nobody! Who are you?" – পরিচিতির অসারতা নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক রচনা।
- "Hope is the thing with feathers" – আশার প্রতীকী চিত্রায়ণ।
- "Success is counted sweetest" – পরাজিত ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে সাফল্যের মূল্য ব্যাখ্যা।
জীবদ্দশায় অবহেলিত প্রতিভা:
তার জীবদ্দশায় মাত্র ১০টি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল, তবে সেগুলোর অনেকটাই তার অনুমতি ছাড়া এবং পরিবর্তিত আকারে প্রকাশ করা হয়েছিল। মূলত, তিনি তার কবিতা প্রকাশে অনাগ্রহী ছিলেন।
মৃত্যু ও সাহিত্যে প্রভাব:
১৮৮৬ সালে ৫৫ বছর বয়সে এমিলি ডিকিনসন কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর পর, তার ছোট বোন লাভিনিয়া তার ১,৮০০-রও বেশি কবিতা আবিষ্কার করেন এবং পরবর্তীতে প্রকাশ করেন।
উত্তরাধিকার ও প্রভাব:
এমিলি ডিকিনসন এখন আমেরিকান সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও অনন্য কবি হিসেবে বিবেচিত হন। তার কবিতার অস্বাভাবিক ছন্দ, চিহ্নের ব্যবহার এবং গভীর ভাবনাগুলি আধুনিক কবিতার বিকাশে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
উপসংহার:
এমিলি ডিকিনসন ছিলেন তার সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে থাকা একজন কবি, যিনি নিজের নিঃসঙ্গ জগত থেকে অসাধারণ কবিতা সৃষ্টি করেছেন। যদিও জীবদ্দশায় তিনি অপরিচিত ছিলেন, তার মৃত্যুর পর তাকে বিশ্বসাহিত্যের অন্যতম মহান কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
What's Your Reaction?






