জন কিটস-এর জীবনী
জন কিটস, জীবনী

বিষয় | বিবরণ |
---|---|
পূর্ণ নাম | জন কিটস (John Keats) |
জন্ম | ৩১ অক্টোবর ১৭৯৫ |
জন্মস্থান | লন্ডন, ইংল্যান্ড |
মৃত্যু | ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৮২১ |
মৃত্যুর স্থান | রোম, ইতালি |
পেশা | কবি |
সাহিত্য ধারা | রোমান্টিক কবিতা |
প্রধান রচনা | Ode to a Nightingale, Ode on a Grecian Urn, To Autumn, Endymion, Lamia |
প্রভাবিত ব্যক্তিত্ব | উইলিয়াম শেকসপিয়ার, এডমন্ড স্পেন্সার, জন মিল্টন |
বিশেষ বৈশিষ্ট্য | প্রকৃতি, কল্পনা ও সৌন্দর্যের প্রতি গভীর অনুরাগ |
স্বাস্থ্য সমস্যা | যক্ষ্মা (Tuberculosis) |
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
জন কিটস ১৭৯৫ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলাতেই তিনি পিতামাতাকে হারান এবং অর্থনৈতিক অনটনের মধ্যে বড় হন। তার স্কুলজীবন শুরু হয় জন ক্লার্ক স্কুলে, যেখানে তিনি সাহিত্য ও ক্লাসিক্যাল পাঠে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
কবিতা রচনার সূচনা
১৮১৪ সালে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসাশাস্ত্র অধ্যয়ন করলেও সাহিত্যকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। ১৮১৬ সালে তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়। ১৮১৭ সালে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ Poems প্রকাশিত হয়, কিন্তু এটি সমালোচকদের দ্বারা প্রত্যাখ্যাত হয়।
সাহিত্যকর্ম ও রোমান্টিক চেতনা
জন কিটস ছিলেন ইংরেজি রোমান্টিক কবিতার অন্যতম প্রধান কবি। তার কাব্যে প্রকৃতি, শিল্প, কল্পনা ও সৌন্দর্যের প্রতি গভীর ভালোবাসা প্রকাশ পেয়েছে। তার বিখ্যাত কবিতাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:
- Ode to a Nightingale – যেখানে কবি জীবন ও মৃত্যু নিয়ে ভাবনা প্রকাশ করেছেন।
- Ode on a Grecian Urn – যা শিল্পের চিরস্থায়ী সৌন্দর্যের প্রতি প্রশংসা জ্ঞাপন করে।
- To Autumn – শরৎ ঋতুর সৌন্দর্যকে তুলে ধরে।
- Endymion – যা গ্রিক পুরাণের প্রেম কাহিনিকে ভিত্তি করে লেখা হয়েছে।
স্বাস্থ্য সমস্যা ও মৃত্যু
যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে কিটসের শারীরিক অবস্থা দ্রুত অবনতি ঘটে। ১৮২০ সালে চিকিৎসার জন্য তিনি ইতালির রোম শহরে যান, কিন্তু সেখানে ১৮২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মাত্র ২৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
উত্তরাধিকার ও প্রভাব
কিটস জীবদ্দশায় খুব বেশি স্বীকৃতি পাননি, তবে মৃত্যুর পর তার কবিতাগুলো ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। তার লেখা আজও সাহিত্যপ্রেমীদের অনুপ্রেরণা জোগায় এবং ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।
জন কিটসের জীবন ছিল সংক্ষিপ্ত কিন্তু অসাধারণ। তার কবিতাগুলো রোমান্টিক যুগের চূড়ান্ত সৌন্দর্যবোধ ও অনুভূতির প্রকাশ করে, যা আজও পাঠকদের মুগ্ধ করে।
What's Your Reaction?






