লুইস ফিগো (পর্তুগাল) এর জীবনী | Biography of Luis Figo (Portugal) in bangla

লুইস ফিগো (Luís Figo) পর্তুগালের একজন কিংবদন্তি ফুটবলার, যিনি তার ড্রিবলিং, পাসিং এবং নেতৃত্বগুণের জন্য বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। তিনি ২০০০ সালে ব্যালন ডি'অর এবং ২০০১ সালে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন।

May 20, 2025 - 23:03
 0  0
লুইস ফিগো (পর্তুগাল) এর জীবনী | Biography of Luis Figo (Portugal) in bangla
বিষয় তথ্য
পুরো নাম লুইস ফিলিপে মাদেইরা কাইরো ফিগো
জন্ম ৪ নভেম্বর ১৯৭২, আলমাদা, পর্তুগাল
উচ্চতা ১.৮০ মিটার
পজিশন উইঙ্গার (ডান পাশ)
জাতীয় দল পর্তুগাল (১২৭ ম্যাচ, ৩২ গোল)
ক্লাবসমূহ স্পোর্টিং সিপি, বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান
প্রধান অর্জন ব্যালন ডি'অর (২০০০), ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় (২০০১), চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (২০০২), ৪টি সিরি আ শিরোপা, ৪টি লা লিগা শিরোপা

ক্লাব ক্যারিয়ার

স্পোর্টিং সিপি (১৯৮৯–১৯৯৫)

ফিগো স্পোর্টিং সিপির যুব একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ১৯৮৯ সালে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি ক্লাবটির হয়ে ১২৯টি ম্যাচে ১৬টি গোল করেন এবং ১৯৯৫ সালে পর্তুগিজ কাপ জেতেন।

বার্সেলোনা (১৯৯৫–২০০০)

১৯৯৫ সালে ফিগো বার্সেলোনায় যোগ দেন এবং ১৭২টি ম্যাচে ৩০টি গোল করেন। তিনি ক্লাবটির হয়ে ২টি লা লিগা, ২টি কোপা দেল রে, ১টি ইউরোপিয়ান কাপ উইনার্স কাপ এবং ২টি স্প্যানিশ সুপার কাপ জিতেছেন।

রিয়াল মাদ্রিদ (২০০০–২০০৫)

২০০০ সালে ফিগো বার্সেলোনা থেকে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন, যা সেই সময়ের বিশ্ব রেকর্ড ট্রান্সফার ছিল (€৬২ মিলিয়ন)। তিনি ক্লাবটির হয়ে ১৬৪টি ম্যাচে ৩৮টি গোল করেন এবং ২টি লা লিগা, ১টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ২টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ১টি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ এবং ১টি ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ জিতেছেন।

ইন্টার মিলান (২০০৫–২০০৯)

২০০৫ সালে ফিগো ইন্টার মিলানে যোগ দেন এবং ১০৫টি ম্যাচে ৯টি গোল করেন। তিনি ক্লাবটির হয়ে ৪টি সিরি আ, ১টি কোপা ইতালিয়া এবং ৩টি ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতেছেন।


জাতীয় দলের অবদান

ফিগো পর্তুগাল জাতীয় দলের হয়ে ১২৭টি ম্যাচে ৩২টি গোল করেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০০ ও ২০০৪ সালের ইউরো এবং ২০০২ ও ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছেন। ২০০৪ সালের ইউরোতে পর্তুগাল রানার-আপ এবং ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে পৌঁছায়।


খেলার ধরন ও গুণাবলি

ফিগো ছিলেন একজন সৃজনশীল উইঙ্গার, যিনি তার ড্রিবলিং, পাসিং এবং ফ্রি-কিকের জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি মাঠে তার নেতৃত্বগুণ এবং খেলার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশংসিত হন।


অবসর ও উত্তরাধিকার

২০০৯ সালে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার পর ফিগো বিভিন্ন সামাজিক ও ক্রীড়া কার্যক্রমে জড়িত হন। তিনি ইন্টার মিলানের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক এবং লরিয়াস স্পোর্টস অ্যাকাডেমির সদস্য। তিনি লুইস ফিগো ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছেন, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সংহতির জন্য কাজ করে।


উপসংহার

লুইস ফিগো ছিলেন এমন একজন ফুটবল কিংবদন্তি, যিনি মাঠে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং মাঠের বাইরে তার সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন। তার ক্যারিয়ার প্রমাণ করে যে, প্রতিভা, পরিশ্রম এবং সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি একজন খেলোয়াড়কে কিভাবে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছাতে পারে।

What's Your Reaction?

Like Like 0
Dislike Dislike 0
Love Love 0
Funny Funny 0
Angry Angry 0
Sad Sad 0
Wow Wow 0