বিদ্যাপতির জীবনী
বিদ্যাপতি, জীবনী

বিষয় | বিবরণ |
---|---|
পূর্ণ নাম | বিদ্যাপতি ঠাকুর |
জন্ম | আনুমানিক ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ |
জন্মস্থান | বিসফি গ্রাম, মিথিলা (বর্তমান বিহার, ভারত) |
পিতার নাম | গণেশ্বর ঠাকুর |
মাতার নাম | নাম অজ্ঞাত |
পেশা | রাজপুরোহিত, কবি, সাহিত্যিক |
ভাষা | মৈথিলী, সংস্কৃত, বাংলা |
প্রধান সাহিত্যকর্ম | পদাবলী, গঙ্গা বর্ণন, কীর্তিলতা, পুরুষ परीक्षा |
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য | প্রেম, ভক্তি, রাধা-কৃষ্ণের লীলাবর্ণনা |
রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতা | দরভঙ্গার রাজা শিবসিংহ |
মৃত্যু | আনুমানিক ১৪৪৮ খ্রিস্টাব্দ |
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন
বিদ্যাপতি ১৩৫০ সালের আশপাশে মিথিলার বিসফি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি দরভঙ্গার রাজা শিবসিংহের রাজসভায় রাজপুরোহিত ও কবি হিসেবে কাজ করতেন। তার পরিবার ব্রাহ্মণ বংশীয় ছিল এবং তারা রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন।
সাহিত্যকর্ম ও বৈশিষ্ট্য
বিদ্যাপতি মূলত মৈথিলী ভাষায় কবিতা রচনা করলেও সংস্কৃত ও বাংলাতেও তার সাহিত্যকর্ম রয়েছে। তার কবিতায় প্রেম, ভক্তি এবং রাধা-কৃষ্ণের লীলাবর্ণনা বিশেষভাবে ফুটে উঠেছে। তিনি বাংলা সাহিত্যেরও অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি হিসেবে গণ্য হন।
বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম
- পদাবলী – প্রেমমূলক ও ভক্তিমূলক কবিতার সংকলন
- গঙ্গা বর্ণন – গঙ্গা নদীর মাহাত্ম্য নিয়ে রচনা
- কীর্তিলতা – ঐতিহাসিক আখ্যান
- পুরুষ পরীক্ষা – নীতিগত গ্রন্থ
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য
- সরল ও কাব্যময় ভাষা
- প্রেম ও ভক্তির সংমিশ্রণ
- রাধা-কৃষ্ণের লীলাবর্ণনায় হৃদয়গ্রাহী রচনা
- সমাজ ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর দৃষ্টি
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
বিদ্যাপতি ১৪৪৮ সালের দিকে মৃত্যুবরণ করেন। তার রচিত মৈথিলী পদাবলিগুলো পরবর্তীকালে বাংলা সাহিত্যের বৈষ্ণব পদাবলির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে।
উপসংহার
বিদ্যাপতি ছিলেন মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি, যার সাহিত্য প্রেম, ভক্তি ও সংগীতের অপূর্ব সংমিশ্রণে সমৃদ্ধ। তার কবিতা আজও বাংলা ও মৈথিলী সাহিত্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে।
What's Your Reaction?






