আবুল হাসানের জীবনী
আবুল হাসান, জীবনী

বিষয় | তথ্য |
---|---|
পূর্ণ নাম | আবুল হাসান |
জন্ম | ৪ আগস্ট ১৯৪৭ |
জন্মস্থান | সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) |
পিতা | আব্দুর রাজ্জাক |
মাতা | জোবেদা খাতুন |
শিক্ষা | খুলনা জেলা স্কুল, ঢাকা কলেজ |
পেশা | কবি, সাংবাদিক |
সাহিত্যধারা | আধুনিকতা, নাগরিক জীবন, প্রেম, দ্রোহ |
প্রধান কাব্যগ্রন্থ | রাজা যায়, রাজা আসে; যে তুমি হরিণী; মৃত্যুর আগে মৃত্যু |
সম্পাদনা | বিভিন্ন সাহিত্যপত্রিকা ও সাংবাদিকতা |
প্রাপ্ত পুরস্কার | বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৫) |
মৃত্যু | ২৬ নভেম্বর ১৯৭৫ |
মৃত্যুস্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ |
জন্ম ও শিক্ষা
আবুল হাসান ১৯৪৭ সালের ৪ আগস্ট সাতক্ষীরায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খুলনা জেলা স্কুল ও ঢাকা কলেজে পড়াশোনা করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি লেখালেখির প্রতি গভীরভাবে আগ্রহী ছিলেন এবং অল্প বয়সেই সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ করেন।
সাহিত্যকর্ম ও অবদান
আবুল হাসান ছিলেন বাংলা কবিতার এক অনন্য প্রতিভা। মাত্র ২৮ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করলেও তাঁর কবিতা বাংলা সাহিত্যে এক গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি নাগরিক জীবনের হতাশা, প্রেম, দ্রোহ ও ব্যক্তিগত অনুভূতির এক শক্তিশালী কণ্ঠস্বর ছিলেন।
তাঁর প্রধান সাহিত্যকর্ম:
কবিতা:
- রাজা যায়, রাজা আসে (১৯৭২)
- যে তুমি হরিণী (১৯৭৪)
- মৃত্যুর আগে মৃত্যু (১৯৭৫, মরণোত্তর প্রকাশ)
সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য
- আধুনিক নাগরিক জীবনের চিত্রায়ণ
- প্রেম, বিষাদ ও একাকীত্বের অভিব্যক্তি
- বিদ্রোহী ও মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি
- গভীর দার্শনিকতা ও তীব্র অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ
পুরস্কার ও সম্মাননা
- বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৫) – তাঁর সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি এই সম্মান অর্জন করেন।
মৃত্যু
আবুল হাসান মাত্র ২৮ বছর বয়সে ১৯৭৫ সালের ২৬ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
উপসংহার
আবুল হাসান বাংলা কবিতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, যিনি স্বল্পায়ু হলেও তাঁর কবিতার মাধ্যমে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁর কবিতা আধুনিক বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং আজও পাঠকদের হৃদয়ে গভীরভাবে স্থান করে নিয়েছে।
What's Your Reaction?






